ইদানিং কিন্ডল বহুল ব্যবহৃত আর পরিচিত একটি ডিভাইস। বইপ্রেমীদের হাতে হাতে , বই এর সাথে উঠে আসছে এই যন্ত্র। সহজে পরিবহনযোগ্য, ব্যবহারযোগ্য আর একই সাথে অনেক বেশি বই পড়া যায় বলে বই এর সাথে সাথে এই যন্ত্রটি আজকাল আমাদের হাতে হাতে। মোবাইল কিংবা ল্যাপটপ অথবা আপনার হাতের স্মার্টওয়াচের মতই এটা কে নিয়ম করে চার্জে দিতে হয়। তবে এই ধরনের ডিভাইসের ব্যাটারির ক্ষমতা তুলনামূলক একটু বেশি। তাই দিনে দু বার না হলেও মাসে দু বার চার্জ দেয়ার প্রয়োজন পড়ে। সেটাও ব্যবহার সাপেক্ষে। আজকে তাই আপনার প্রিয় কিন্ডল এর ব্যাটারি যেভাবে ভালো রাখবেন সেই বিষয় গুলো জানব।
১। তিন থেকে চার ঘন্টা সময়ে শূন্য থেকে শত ভাগ চার্জ হতে সময় নেয়। অবশ্যই আপনি কিন্ডলের সাথে দেয়া কেবল ব্যবহার করবেন। এতে করে আপনার ডিভাইসটির ব্যাটারীর মেয়াদ দীর্ঘস্থায়ী হবে।
২। প্রথমবার যখন চার্জ দিবেন একবারে অবশ্যই ৮৫% হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন, ব্যবহারের আগে।
৩। চার্জ দেয়া অবস্থায় চেষ্টা করবেন কিন্ডল ব্যবহার না করতে।
৪। অতিরিক্ত রোদের আলোতে কিন্ডল সরাসরি রাখবেন না, এতে ব্যাটারির মেয়াদ কমে যেতে পারে ।
৫। কিন্ডলের ব্যাটারি ১৫% এর নীচে আসলে তাহলেই চার্জ দিবেন, অন্যথায় দেয়ার প্রয়োজন নেই।
৬। কিন্ডল এর জন্য নানা দামের নানা রঙ এর কভার পাওয়া যায়, সেগুলো ব্যবহার করতে পারেন।
৭। ব্রাইটনেস সব সময় প্রয়োজন মত রাখবেন, অতিরিক্ত ব্রাইটনেস ব্যাটারির পাওয়ার কমিয়ে দিতে পারে।
৮। সারারাত কিংবা সারাদিন চার্জ দেবার প্রয়োজন নেই।
৯। অনেক ক্ষেত্রে লো ব্যাটারিতে কিন্ডল চলে বলে আবার ঢিলেমি করে চার্জ না দিয়ে ফেলে রাখবেন না।
১০। ব্যবহার না করলেও মাঝে মধ্যে চার্জ দিয়ে রাখবেন, যাতে করে ব্যাটারি ড্রেইনড না হয়ে পড়ে। আর সে সময় ব্রাইটনেস একদম লো রাখবেন।
১১। দীর্ঘসময়ের জন্য ব্যবহার না করলে, ফুল চার্জ দিয়ে স্লিপ মোডে রেখে দিতে পারেন।
১২। প্রয়োজন ছাড়া, ওয়াইফাই অপশনটি বন্ধ রাখবেন, এতে করে চার্জ বেশি সময় ধরে থাকবে।
১৩। দীর্ঘদিন ব্যবহারের ফলে ব্যাটারি নষ্ট হয়ে যেতে পারে, প্রয়োজনে নতুন ব্যাটারি রিপ্লেস করতে পারেন।
১৪। ৫% এর নীচে কখনই ব্যাটারির চার্জ হলে কখনই ব্যবহার করবেন না । এতে করে ব্যাটারি ধীরে ধীরে নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
১৫। দীর্ঘ সময় ব্যবহারে কিন্ডল গরম হয়ে গেলে চিন্তার কিছু নেই, কিছুক্ষণ বিশ্রাম দিয়ে আবার ব্যবহার করতে পারবেন।
দেখা যায় প্রথম দিকে আমরা সবাই নিজেদের ডিভাইসের অনেক যত্ন নেই, সময়ের সাথে সাথে যত্ন নেয়া কমিয়ে দেয়, এতে করে কিন্তু আমরা নিজের বিপদ নিজেই ডেকে আনি। আবার অতিরিক্ত যত্নও বিপদ ঢেকে আনতে পারে। যত্নে রাখুন আপনার কিন্ডল, বই পড়ুন, নিজেকে আলোকিত করুন। আপনার প্রিয় কিন্ডল এর ব্যাটারি যেভাবে ভালো রাখবেন সে বিষয়ে কিছুটা ধারনা দিলাম আমরা, বাকীটা আপনারা নিজেই যত্ন করতে পারবেন।